সোনারগাঁও খবর ডটকম :
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাটেরচর দেওয়ান আবদুল মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক পুরস্কার বিতরণ ২০১৫ইং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(২২ফেব্রুয়ারী)সকাল ১০ঘটিকায় উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের ভাটেরচরস্থ স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শাহজাহান শিকদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল হাই।উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
দেশবন্ধু গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাকির হোসেন,হোলটেক সল্যুশনস এর পরিচালক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, আমির গ্রুপের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ইউসুফ শাহরিয়ার, বিসিআইসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফারজানা ইয়াসমিন,সিনিয়র শিক্ষক দেওয়ান কামরুজ্জামান,কৃষ্ণ হালদার,হালিমা আক্তার, রোমেনা আফরোজা,রতন আহমদ,সাখাওয়াত হোসেন,ছাবেকুন্নাহারসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,অভিভাবকবৃন্দ ও ছাত্র/ছাত্রীগণ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালয়ন করেন সিনিয়র শিক্ষক মো আবজাল হোসেন ও ফাতেমা আক্তার।
অনুষ্ঠান এর সূচনা লগ্নে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন ও কোরআন তেলাওয়াত মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী করা হয়।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২১টি ইভেন্টে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা,এর মধ্যে ছিল ২০০ ও ৪০০,১৫০০ মিটার দৌড়,বিস্কুট দৌড়,ঝুড়িতে বল সংগ্রহ, ব্যাঙ–দৌড়, মোরগ–লড়াই, বল সংগ্রহ দৌড়, ভারসাম্য দৌড়, বল নিক্ষেপ, গণিত–দৌড় ইত্যাদি
অনুষ্ঠানের উদ্ধোধক প্রকৌশলী মো:সাখাওয়াত হোসেন বলেন,যেকোনো সফলতা অর্জনের জন্য দরকার সাহস ও সংকল্প। এ বার্তাটিকে সামনে রেখেই এবার ভাটেরচর স্কুল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। কারণ, খেলাধুলার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটে।
‘যেকোনো সফলতা অর্জনের জন্য দরকার সাহস ও সংকল্প। এ বার্তাটিকে সামনে রেখেই এবার ভাটেরচর স্কুল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। কারণ, খেলাধুলার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মনের প্রশান্তি না থাকলে পড়াশোনায় মন বসবে না। তাই মাঠকেন্দ্রিক খেলাধুলা যেমন ব্যক্তিগত অধ্যয়নে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে সহায়তা করে, ঠিক তেমনি মাত্রাতিরিক্ত গেজেট–আসক্তি থেকেও দূরে রাখে।
দিনব্যাপী আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন স্কুলটির শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
খেলাটি পরিচালনায় করেন সিনিয়র শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক শাহাদাত হোসেন সায়মন।