নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর মরদেহ উদ্ধার
সোনারগাঁও খবর ডটকম :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নিখোঁজের ৪দিন পর কসটেপে মোড়ানো সায়মা আক্তার মীম (২২) নামের এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক ব্রীজ এলাকা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন। নিহত সায়মা আক্তার মীম পাবনা জেলার সুজানগর থাকার দয়াল নগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সে মোগারাপাড়া আম তলা এলাকার ফিরোজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের আমতলা ফিরোজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কলাপাতা বার্গার কিংয়ের কর্মী সাময়া আক্তার মীম। গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করে না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গরিার বিকেলে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক ব্রীজ এলাকায় ঝোপের মধ্যে বড় একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ব্যাগটি পানি থেকে তুললে সেখানে কালো পলিথিনে মোড়ানো কসটেপ প্যাচানো হাত,পা বাধা লাশ বের হয়ে আসে। পরে নিখোঁজ সাময়ার মামা খোকন শেখ সাগর লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেন। পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত সায়মার মামা খোকন শেখ সাগর জানান, তার ভাগ্নি কুমিল্লার রায়হান নামের এক যুবকের সঙ্গে দু’বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করে। এ বিয়ে উভয় পরিবার মেনে না দেওয়ায় তারা বাসা বাড়া নিয়ে বসবাস করে। তার দাবি, স্বামী রায়হান তার ভাগ্নিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ব্যাগ ভর্তি করে লাশ ফেলে যায়। তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করলেই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হবে।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক মো. রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, কসটেপে মোড়ানো ব্যাগ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।