বিশেষ প্রতিনিধি: প্রেমের ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সম্পর্ক অস্বীকার করায় অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে প্রেমিক এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর সুধারাম থানার মাইজদী এলাকায়।
ঐ এলাকার মিন্টু কৃষ্ণ দে’র ছেলে তমাল কৃষ্ণ দে আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পূর্ব পাড়া বাইন্না বাড়ি এলাকার তপন বনিকের মেয়ে চোয়া মিত্রের প্রেমের ফাঁদে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। তারপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তমাল কৃষ্ণ প্রাইম ইউনিভার্সিটির ছাত্র থাকাকালীন তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানান তার বাবা মিন্টু কৃষ্ণ দে। বিষয়টি টের পেয়ে প্রথমে ছেলেকে বুঝিয়ে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন খরচের কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে প্রেমিকা চোয়ার পিছনে ব্যয় করতো বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তারপর মিন্টু কৃষ্ণ দে সিদ্ধান্ত নিলেন ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে দিবেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তমালকে কাতার পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু বিদেশে গিয়েও তাদের সম্পর্ক ছিন্ন না হয়ে বরং আরো গভীর হয়েছে। দীর্ঘ ৯ মাস কাতার থেকে একটি টাকাও পরিবারে পাঠায়নি সে। বিয়ে করার আশায় সব টাকা-পয়সা প্রেমিকা চোয়াকে দিয়েছে।
চোয়ার কথায় তাকে বিয়ে করার জন্য কাতার থেকে চলে আসে তমাল। কিন্তু তমাল দেশে আসলে চোয়া তাদের সম্পর্ক অস্বীকার করে। এতে অভিমানে ২০ অক্টোবর তমাল আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে। এই বিষয়ে সুধারাম থানার এসআই জয়নাল আবেদিনের চোয়া এবং তার মা রুপা মিত্রের একটি ফোন রেকর্ডে চোয়াকে কান্না কাটি করতে শোনা যায় এবং ঘটনার রাতে তার সাথে কথা হয়েছে বলে ও স্বীকার করে। কিন্তু চোয়ার ব্যবহৃত 0173…666 নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।বেশ কয়েকবার ফোন করে ও তার বক্তব্য নেয়া যায় নি।
এই বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অচিরেই আড়াইহাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন তার বাবা।